শুক্রবার ব্যাংককের বৈঠক শেষের মুহূর্তেই মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকা থেকে নৌবাহিনীর ৭ শতাধিক অভিবাসী উদ্ধারের খবর এসেছে।
থাইল্যান্ড এ মাসে মানবপাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পর থেকে ৪ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে এসেছে।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামানে নৌকায় এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে প্রায় ২ হাজার মানুষ।
ব্যাংকক বৈঠকে অভিবাসী সঙ্কটে জর্জরিত দেশগুলো মানবপাচার বিরোধী একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করাসহ যারা মানবপাচারের শিকার হয়ে আটকে পড়েছেন তাদের দ্রুত পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা এবং যে কারণ থেকে এ সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে তা খুঁজে বের করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্মেলনে মিয়ানমারের নাম উহ্য রেখে সতর্কভাবে বক্তব্য রেখেছেন নেতারা। কারণ, মিয়ানমার আগেই জানিয়েছিল, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে কোনোরকম দোষারোপ করা হলে তা তারা মেনে নেবে না।তবে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের প্রধান হেইন লিন মানবপাচার রোধে তার দেশ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংগঠনের (আইওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বলেন, “মানবপাচারের ক্ষেত্রে বৈঠকে প্রথম খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মিয়ানমারকে পাশে পাওয়াটাও বড় ব্যাপার। আমি খুবই আশাবাদী। মিয়ানমার অভিবাসী অনুসন্ধান এবং উদ্ধার প্রক্রিয়া জোরদার করতে রাজি হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।”