দুই ‘ধর্ষক’ ১০ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীতে মাইক্রোবাসে তুলে গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তুষার ও লাভলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2015, 09:21 AM
Updated : 23 August 2015, 01:27 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে বৃহস্পতিবার পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি করে এ আদেশ দেন।

ভাটারা থানার ওসি নূরুল মোত্তাকিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়।

বাদীপক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য নারী অধিকার সংগঠন নারীপক্ষ, ব্লাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ওকালতনামা দাখিল করা হয়।  

তবে এসব সংগঠনের পক্ষে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী আব্দুর রশিদ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

অন্যদিকে ওকালতনামা না দিলেও আদালতের অনুমতি নিয়ে দুই আসামির পক্ষে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম ও ফারুক আহমেদ।

তারা যুক্তি দেন, আসামিরা যেহেতু গ্রেপ্তার হওয়ার পর সব স্বীকার করেছে, আলামতও যেহেতু পাওয়া গেছে, সেহেতু তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আর যৌক্তিকতা নেই।

শুনানি শেষে বিচারক পুলিশের আবেদন অনুযায়ী দশ দিন রিমান্ডই মঞ্জুর করেন।   

যমুনা ফিউচার পার্কের এক বিক্রয়কর্মীকে গত ২১ মে রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে তুষার ও লাভলুকে ঢাকা ও পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। 

পরদিন তাদের সংবাদ সম্মেলনে হাজির করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, তুষার ও লাভলু দুজনেই একটি বায়িং হাউজে গাড়িচালকের কাজ করেন। পরিকল্পনা এঁটে ‘চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে’ মেয়েটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন।

ওই দুইজন র‌্যাবের কাছে দাবি করেছেন, তারা দুজনই পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আর কেউ ধর্ষণের সময় গাড়িতে ছিল না।  

তবে ধর্ষণের ঘটনার পরদিন ওই তরুণীর পরিবার ভাটারা থানায় যে মামলা করে, তাতে আসামি করা হয় পাঁচজনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী ওই গারো তরুণীকে কুড়িলে রাস্তা থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দেড় ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে পাঁচজন। পরে মেয়েটিকে উত্তরায় নামিয়ে দিয়ে তারা চলে যায়। 

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়।

আদালতে আসার পর শুনানি শুরুর আগে দুই আসামি সাংবাদিকদের বলেন, তারা র‌্যাবকে ‘সত্যি কথাই’ বলেছেন। মাইক্রোবাসে তারা দুজনই ছিলেন, আর কেউ নয়।   

ধর্ষণকারী আসলে কয়জন ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে কি না-এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি র‌্যাব।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন,“এটা এখনই বলা সম্ভব নয়। পরীক্ষা করে দেখতে হবে।”