জাতীয় প্রেস ক্লাব: ইজিএম ডেকেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি

জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে ২৭ জুন অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) ডেকেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2015, 03:41 PM
Updated : 26 May 2015, 03:41 PM

মঙ্গলবার রাতে ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজের সভাপতিত্বে কমিটির মুলতবি সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সভায় বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় সর্বসম্মত এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

২৭ জুন বিকাল ৩টায় ক্লাব মিলনায়তনে এই সভা হবে।

তিনি জানান, অতিরিক্ত সাধারণ সভায় ক্লাবের উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সাধারণ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নিবার্চনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সমর্থিত দুটি অংশ উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় পৃথক বৈঠক ডেকেছে।

গত সোমবার ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে বর্তমান কমিটিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবৈধ উল্লেখ করে ক্লাব পরিচালনায় তাদের কোনো এখতিয়ার নেই বলে জানানো হয়।

ক্লাব সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা ওই চিঠিতে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত অংশের ১২ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক যথাক্রমে গোলাম সারওয়ার, হাসান শাহরিয়ার, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শফিকুর রহমান, স্বপন সাহা, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ওমর ফারুক, মোল্লা জালাল, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আবদুল জলিল ভুঁইয়া, আলতাফ মাহমুদ, কুদ্দুস আফ্রাদের নাম রয়েছে।

এছাড়া জাতীয়তাবাদী দলের একটি অংশের নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরীও ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়ে ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

চিঠি পাওয়ার পরপরই সোমবার বিকালে ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠকে বসে। 

গত রোববার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে অপরাগতা প্রকাশ করে।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিভাবে পরিচালনার পরিবেশ প্রেস ক্লাবে নেই।

আগামী ২৮ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও ২৯ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।