এই সংবাদটি প্রথম আলোতে গত ১০ মে প্রকাশিত হওয়ার পর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল, তলব করা হয়েছিল কারখানার কর্মকর্তাদের।
নির্দেশ পেয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে এপেক্স ফুটওয়্যার কারখানায় ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
এর মধ্যে প্রথম আলোও ওই খবরটি ভুল ছিল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
ইউএনও’র ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ প্রথম আলোকে টাকা দিতে নির্দেশ দিয়ে এ সংক্রান্ত রুলটি নিষ্পত্তি করে দেয়।
ওই আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সঠিক খবর প্রকাশিত না হওয়ায় ওই নারী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এ জন্য প্রথম আলো করপোরেট বডিকে আদালত এক মাসের মধ্যে ওই নারীকে এক লাখ টাকা দিতে বলেছে।”
প্রথম আলোকে এর আগেও আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। আদালত অবমাননার জন্য সংবাদপত্রটি এর আগে দোষী সাব্যস্ত হলেও ক্ষমা চেয়ে রেহাই নিয়েছিলেন এর সম্পাদক। তবে শাস্তি পেতে হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানকে।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কর্তৃপক্ষ ছুটি না দেওয়ায় ওই নারী শ্রমিক কারখানার টয়লেটে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
প্রতিবেদনটি দেখে সেদিনই আদালত কালিয়াকৈরের ইউএনওকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রতিবেদন দিতে বলে এবং কারখানার তিন কর্মকর্তাকে তলব করে।
এর মধ্যে ১৩ মে প্রথম আলো ভুল স্বীকার করে জানায়- “প্রকৃতপক্ষে কারখানার ওই নারী কর্মী ছুটি চাননি। তিনি সন্তান প্রসব করেননি, গর্ভপাত ঘটেছিল।”
তবে গত ২৪ মে এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ ও কারখানার লাস্টিং সেকশনের সুপারভাইজার মো. রতন মিয়াকে অব্যাহতিও দেয় আদালত।