মোদীর সফরে তিস্তা নিয়ে আলোচনা: রিজভী

চুক্তির যে কাঠামো চার বছর আগে তৈরি হয়েছিল, তা ঠিক রেখে তিস্তা নদীর কতটুকু পানি বাংলাদেশ পাবে, তা নিয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 06:52 PM
Updated : 25 May 2015, 06:52 PM

রোববার রাজধানীতে একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা (তিস্তা চুক্তি) ইনিশিয়াল হয়েছিল ২০১১ সালে। মোদী সাহেব যখন আসবেন তখন তিনি আমাদের জন্য খবর নিয়ে আসবেন।

“আমি এতটুকু বলতে পারি, আলোচনাটা আমরা রি-ওপেন করছি না, রি-নেগোশিয়েট করছি না। যেখানে নেগোশিয়েশন হয়েছে, সেখানেই থাকবে। আমাদের যা ন্যায় ডিমান্ড, যত পানি প্রয়োজন সেটুকু আমরা পাবই।”

পানি ভাগাভাগির বিষয়ে কবে নাগাদ চূড়ান্ত সমঝোতা হবে সে বিষয়ে কোনো আভাস দিতে পারেননি রিজভী।

২০১১ সালে সেসময়কার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে দুই দেশে আশার সঞ্চার হলেও শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা ঝুলে যায়।

সেময় দুই দেশের মধ্যেকার সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নে একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়, যার আওতায় মোদী সরকার ছিটমহল বিনিময়ের পথ প্রশস্ত করেছে। 

ছিটমহল বিনিময় বিষয়ে গওহর রিজভী বলেন, “…প্রটোকলটি ভারত সরকার পার্লামেন্টে রেটিফাই করেছে। এখন সেটা শিগগিরই ইমপ্লিমেনটেশনের যা কিছু বাকি আছে সেগুলো করে  খুবই দ্রুত কার্যকর হবে।”

মনমোহন সিংয়ের সফরে ১০০ কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতির পর এবার মোদীর কাছ থেকেও একই ধরনের কিছু পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বারিধারার একটি হোটেলে ইউনিসেফের ‘স্ট্রেনদেনিং কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট টু ইমপ্রুভ রেজাল্টস ইন এডুকেশন’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে।

প্রান্তিক শিশু-কিশোরদের জন্য একীভূত, সমতাভিত্তিক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতে শিক্ষাখাতে কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (সিফরডি) প্রচারণায় অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, কলাম্বিয়া, মালাওয়ি, মোজাম্বিক, মন্টেগোমারী, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পেরু, সেনেগাল, সিয়েরালিওন, তাজিকিস্তান, উগান্ডা এবং ভিয়েতনামের সরকার, ইউনিসেফ, ব্র্যাক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার উন্নয়ন পেশাজীবী এবং বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাগ্রহণের হার বাড়লেও মানের দিক থেকে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন গওহর রিজভী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি লুইস মনো ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও গবেষক আফসান চৌধুরী।