হাসপাতালে হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের ধর্মঘট

রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় হাসপাতাল ভাংচুরের প্রতিবাদে জেলার সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2015, 02:41 PM
Updated : 23 May 2015, 02:41 PM

শনিবার সকাল থেকে চিকিৎসক ও নার্সরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গোপালগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আবিদ হাসান।

তবে হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন সিরাজুল ইসলাম।

এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুর চালায় স্থানীয়রা। এতে চিকিৎসক, নার্স ও পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ধর্মঘটের পাশাপাশি শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও নার্সরা।

এর আগে জেলার সব চিকিৎসকরা গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে একটি বৈঠক করেন।

বিএমএ সভাপতি আবিদ বলেন, বৈঠকে হাসপাতালের সামনের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, হাসপাতাল এলাকায় পুলিশবক্স স্থাপন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক সামিউল ইসলাম সাদির সভাপতিত্বে বৈঠকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন সামিউল ইসলাম সাদি ।

এদিকে চিকিৎসক ও নার্সদের ধর্মঘটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোটালীপাড়ার সাঈদুল শেখ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হই। ধর্মঘটের কারণে শনিবার কোন চিকিৎসক দেখতে আসেননি।  

আরেক রোগীর স্বজন পারভীন আক্তার বলেন, “আজ (শনিবার) আমার বাবার পায়ে অপারেশন করার কথা ছিল। চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে অপারেশন করেননি।সকাল থেকে কোন ডাক্তার ওয়ার্ডেও আসেনি।”

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অসিত মল্লিক বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

এদিকে হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ।