‘সরকারকে বিব্রত করতে সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে বিএনপির নাটক’

সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে বিএনপি ‘পরিকল্পিতভাবে’ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে ‘নাটক’ সাজিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2015, 06:56 PM
Updated : 12 May 2015, 06:56 PM

মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেইসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, “বিএনপির সালাহ উদ্দিনকে অবশেষে ভারতে পালিয়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। অন্তর্ধানের পুরো দুইমাসের কোনো স্মৃতিই মনে করতে পারছেন না তিনি।

“সালাহ উদ্দিন সাহেবের স্ত্রী যিনি গণমাধ্যমে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, সাদা পোশাকধারী পুলিশ তার স্বামীকে অপহরণ করেছে, তিনিই আজ খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার পর বলেছেন, সালাহ উদ্দিনের সাথে তার কথা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, পুরো ঘটনাটিই আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত একটি সাজানো নাটক।”

বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধের মধ্যে অজ্ঞাত স্থান থেকে হরতালের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে আসা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনকে গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার পরিবার অভিযোগ করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে বিএনপির ইঙ্গিত এবং সরকারের তা অস্বীকার, সেইসঙ্গে বিএনপির ‘ভেতরকার বিষয়’ বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে দুই মাস ধরেই আলোচনায় ছিলেন সালাহ উদ্দিন।

সালাহ উদ্দিনের এই ছবিটি দ্য নর্থইস্ট টুডে থেকে নেওয়া

মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা হাসিনা আহমেদ স্বামীর টেলিফোন পাওয়ার কথা জানালে সারাদেশে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, সালাহ উদ্দিন তার বেঁচে থাকার খবর জানিয়ে দ্রুত তা গণমাধ্যমে জানাতে বলেন।

জয় লিখেছেন, “আপনি কিছু মানবাধিকার সংস্থাকে দেখে থাকবেন যেমন অধিকার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, যারা কোনো প্রমাণ এবং তদন্ত ছাড়াই বলে আসছিল যে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এই পুরো ঘটনা আসলে তাদের ব্যর্থতাকেই প্রমাণ করে দেয়, কারণ সালাহ উদ্দিনের অন্তর্ধান নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে খুব দৃঢ়তার সাথে রিপোর্ট করে আসছিল।

“আমি ভেবে অবাক হচ্ছি, তাদের কথিত ‘গুম’ করার এরকম কতো সাজানো নাটকই না আছে! সরকার কারো উধাও হয়ে যাওয়া এবং লুকিয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বিএনপি মিথ্যে বলে, সবাই তা জানে। অধিকার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচও তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারালো।”