নেপালে শনিবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় পুরো বাংলাদেশই কেঁপে ওঠে। এতে ১৭টি বহুতল ভবনে ফাটল দেখা দেয় অথবা ও হেলে পড়ে বলে দুর্যোগ মন্ত্রণালয় হিসাব করেছে।
এরপর রোববার আবার ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ। এর উৎসস্থলও ছিল নেপাল। এটি আগের ভূমিকম্পের পরাঘাত।
রোববার দুপুরে ভূকম্পনের পর উঁচু বিভিন্ন ভবনে আতঙ্ক দেখা দেয়, তাড়াহুড়ো করতে নামতে গিয়ে আহতও হন অনেকে।
ভূমিকম্পের পর ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বহুতল ভবন হেলে পড়ার মোট ১৩টি সংবাদ আসে বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা শাহজাদি সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়, লালবাগ, মধ্য বাড্ডা, বনানী, মহাখালী, মিরপুর, গুলশান ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, গাজীপুরের বোর্ড বাজার ও রংপুর থেকে ভবন হেলে পড়ার সংবাদগুলো আসে।
“কিন্তু ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবন হেলা পড়ার সত্যতা খুঁজে পায়নি,” বলেন শাহজাদি সুলতানা।
রোববার বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা থেকেই ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে এর কেন্দ্রস্থল ছিল ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন, শনিবারের তীব্র ভূমিকম্পের পর এখন যেসব ভূকম্পন হচ্ছে সেগুলো ‘আফটার শক’ বা পরাঘাত।
“এ ধরনের আফটার শক বড় ভূমিকম্পের পর অন্তত দু’দিন বিভিন্ন সময়ে ঘটে। আফটার শকের তীব্রতা অপেক্ষাকৃত কম থাকে। প্রথম উৎপত্তিস্থলের আশপাশেই আফটার শকের উৎপত্তি হয়ে থাকে।”
শনিবারের ভূমিকম্পে নেপালে বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়ে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সেখানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে।