শহীদের ‘অসুস্থতার’ কথা জানিয়ে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে সোমবার ঢাকার মহানগর পঞ্চম বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক রুহুল আমীন তা মঞ্জুর করেন।
জামিন শুনানিতে আইনজীবী মিজানুর রহমান খান বলেন, শহীদ কিডনি, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড ও ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন।
২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার গেণ্ডারিয়ার বাসা থেকে শহীদকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ৬২ রাউন্ড গুলি।
র্যা বে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক নীতি বিকাশ দত্ত ওইদিনই গেণ্ডারিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। গত বছরের ১৯ মে শহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ কুমার।
এরপর গতবছর ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় শহীদের বিচার শুরু করে আদালত। চলতি বছর ৩১ মার্চ মামলার বাদী আংশিক সাক্ষ্য দেন।
শহীদ কমিশনার হিসাবে পরিচিত পুরান ঢাকার এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জের আতিকুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলাসহ অন্তত চারটি মামলা বিচারাধীন।
অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মণ্ডল হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে শহীদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ হলেও ১০ বছর জেল খাটার পর বছর পাঁচেক আগে উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান শহীদ। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও কয়েকটি মামলা উচ্চ আদালতে আটকে আছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা শহীদ গতবছর প্রকাশ্যে আসেন এবং ঢাকা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।