রোববার ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রামের ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এমন মত এসেছে বলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদের জানান।
ভোটে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন না জানিয়ে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি নিজেও সেনাবাহিনীর লোক। র্যাবকে সবাই কাজে ভয় পায়, সেনাকে নামে ভয় পায়। সুতরাং সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।”
পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘এলিট ফোর্স’ র্যাবের বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যার অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও এ বাহিনীর পক্ষ থেকে বরাবরই তা অস্বীকার করা হয়েছে।
তবে সেনা মোতায়েন করা হবে কি হবে না সে বিষয়ে কমিশন বসে দুই-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে বলে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তনে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনারও ছিলেন।
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বলেছেন, সেনা মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
শনিবার চট্টগ্রামে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের এক সংবাদ সম্মেলনেও নির্বাচনের কয়েবকদিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনর দাবি জানানো হয়।
একই দাবি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও।
ভোটের আগে-পরে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনায় চার স্তরের নিরাপত্তার পরিকল্পনা নিলেও তাতে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি রাখেনি ইসি।
কর্নেল জিয়া বলেন, “ভেতরে (বৈঠকে) সবাই তিন সিটির ভোটে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে মত দিয়েছেন।
“এ নির্বাচনে সব প্রার্থীই জেতার চেষ্টা করবে, এজন্য কেউ গণ্ডগোল করবে না। যে গণ্ডগোল করবে তাকেই ধরা হবে।”
যারা ‘জ্বালাও-পোড়াও চালায়, গাড়িতে পেট্রোল বোমা মারে’, তাদের দমন করতে পারলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক, সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।