এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হলো।
সর্বশেষ মৃতরা হলেন উপজেলার বাগদী রাইট (লালপুর) গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হাবিল হোসেন ও আলমপুর গ্রামের রোস্তম মোল্লা।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাহাজ্জেল হোসেন জানান, হাবিল ৮ এপ্রিল আর রোস্তম ১৫ এপ্রিল মারা যান।
এর আগে ২৯ মার্চ উপজেলার সামন্তা গ্রামের তরুণী আসমা খাতুন এবং ১ এপ্রিল কোলা গ্রামের যুবক এনামুল হকের মৃত্যু হয়।
এদিকে নতুন করে দুজনের মৃত্যুর পর রোগটি সনাক্তে কাজ করতে আবার ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিরাময় ও গবেষণা (আইইডিসিআর) প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মহেশপুর এসেছেন বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাহাজ্জেল হোসেন।
তিনি বলেন, তারা মহেশপুরের যেসব গ্রামে অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা গেছে সেসব গ্রাম পরিদর্শন করছেন। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন।
এবারের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডা. ইসমাইল ফারুক।
এর আগে ডা. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল মহেশপুর ঘুরে যায়। ওই দল প্রথমবার মৃত দুজনের বাড়ি যান এবং তাদের সঙ্গে যারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের রক্ত ও মুখের লালা সংগ্রহ করে ঢাকা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান।
প্রথমবারে রোগটি সনাক্ত করা না যাওয়ায় চিকিৎসকদের ঊর্ধ্বতন এই দল আক্রান্ত এলাকায় এসেছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাহাজ্জেল জানান।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম জানান, সর্বশেষ মৃত দুজনের মধ্যে হাবিল হোসেন অজানা ওই রোগে আক্রান্ত হলে তার আত্মীয়-স্বজন ঝিনাইদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অবস্থার অবনতি হলে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ এপ্রিল মারা যান হাবিল।
রোস্তম মোল্লা আক্রান্ত হলে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে ফেরত আনার পথে ১৫ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে, প্রথমে শরীরে ব্যাথা হয়। পরে শরীরে জল বসন্তের মতো গুটি বের হয়। ব্যথার তীব্রতা বেড়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এক পর্যায়ে রোগীর মৃত্যু হয়।
“মহেশপুরের বিভিন্ন গ্রামে জল বসন্তে আক্রান্ত ১৩২ জনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।”
বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং এ নিয়ে এলাকায় দুটি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম।