নিহত খোদেজা বেগম (৫০) উপজেলার গোহাট ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের ফকির বাড়ির জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হত্যার পরপরই প্রতিবেশীরা তার জামাতাকে ধরে পিটুনির পর পুলিশে দেয় বলে কচুয়া থানার ওসি মো. ইব্রাহিম খলিল জানান।
গ্রেপ্তার সোহাগ হোসেনের (২৫) বাড়ি বরিশালে। ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন তিনি।
সোহাগের হামলায় তার স্ত্রী শারমিন (২০) ও শ্যালক সোহেলও (১৫) আহত হয়েছেন।
মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া শারমিনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সোহেল ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
পিটুনিতে আহত সোহাগকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি ইব্রাহিম খলিল।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত ৯টার দিকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শাশুড়ি খোদেজাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন সোহাগ। এতে ঘটনাস্থলেই খোদেজার মৃত্যু হয়। এ সময় সোহাগকে ঠেকাতে শারমিন ও সোহেল এগিয়ে এলে তাদেরও আঘাত করেন তিনি।
পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে সোহাগকে ধরে মারধরের পর পুলিশে খবর দেয়।
তবে কী নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন।