গাজীপুরে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে বন কর্মকর্তাকে ধাওয়া

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বাড়ির মালিকদের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2015, 01:40 PM
Updated : 28 March 2015, 01:40 PM

শনিবার দুপুরে এক বন কর্মকর্তা উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় গিয়ে বাড়ির মালিকদের কাছে টাকা দাবি করলে এলাকাবাসী তাকে ধাওয়া দেয় বলে জানান মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুরে বন বিভাগের চন্দ্রা রেঞ্জের মৌচাক বিট কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান তার কার্যালয়ের প্রহরীদের নিয়ে টাকা চাইতে আসেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

“টাকা দিতে অস্বীকার করায় ইস্কান্দার আলী নামে এক ব্যক্তির বাড়িঘরের একাংশ ভাংচুর করা হয়। এ সময়ে এলাকাবাসী স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে ধাওয়া দিলে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা পালিয়ে যান।”

উত্তপ্ত অবস্থার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি।

কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১২ হাজার ১৫৫ একর বনভূমি রয়েছে। শিল্পসমৃদ্ধ এলাকায় হওয়ায় গত কয়েক বছরে জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এক শ্রেণির দালাল প্রায় তিন হাজার একর বনভূমি দখল করেছে। এর মধ্যেই এসব জমিতে রীতিমতো কাঁচা-পাকা বাড়িঘরও গড়ে ওঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, রাখালিয়াচালা এলাকায় বনভূমির জমিতে গড়ে উঠা প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর উচ্ছেদের নাম করে বিভিন্ন সময়ে এসব বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে চন্দ্রা রেঞ্জের আওতায় মৌচাক বিট কর্মকর্তারা টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বিট কর্মকর্তারা এসব বাড়িঘর থেকে প্রতিমাসে টাকা তোলেন। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদের নাম করে ভেঙে দেয়া হয়। ইস্কান্দারের বাড়িঘরও সেজন্য ভাংচুর করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিট কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইস্কান্দার নতুন করে বনের জমিতে টয়লেট নির্মাণ করার সময় অভিযান চালিয়ে সেটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দুর্বল করার জন্য এলাকাবাসী টাকা নেওয়ার অপপ্রচার চালিয়েছে।”

বন বিভাগের চন্দ্রা রেঞ্জ প্রধান একেএম তৌহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”