যতো বাধাই আসুক, নির্ধারিত সময়ে এইচএসসি: মন্ত্রী

যতো বাধা-বিপত্তিই থাক, আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2015, 09:12 AM
Updated : 24 March 2015, 09:12 AM

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “সকল বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করেই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই।”

বিএনপি জোট হরতাল-অবরোধ চালিয়ে গেলেও নির্ধারিত সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে ‘বিভিন্ন মহলের চাপ’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি পরীক্ষার্থীদের সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

নাহিদ বলেন, “হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে।”

আর এ ক্ষেত্রে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোরও সহযোগিতা চান তিনি।

নাহিদ এর আগে সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, সূচি অনুযায়ীই এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

গত ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ ডাকার পর ফেব্রুয়ারি থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো বাদে অন্য দিনগুলোতে হরতাল ডেকে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

আড়াই মাস ধরে চলমান অবরোধ-হরতালের প্রভাব জনজীবনে এখন তেমন না থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এসএসসি ও সমমানের সবগুলো, অর্থাৎ ১৬ দিনের ৩৬৮টি পরীক্ষা পেছাতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ছুটির দিনে শুক্র ও শনিবার এসব পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

গত ১১ মার্চ এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হরতাল-অবরোধের কারণে তা শেষ হচ্ছে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে।

এই পরিস্থিতিতেই আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে ১১ জুন পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলার কথা।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিএনপি জোট আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের আলোচনা চলছে।

এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে সরকার, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান থাকলেও তাতে বিএনপির সাড়া মেলেনি।