বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরী মামলা দুটিতে রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিনা আক্তার বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোতোয়ালী থানার মামলাটিতে চার আসামিকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দণ্ডিত করা হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- গোলাম মোস্তফা পলাশ, ইসমাইল মিলন, নাসির উদ্দিন ও তাহের।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৭ জুন নগরীর কোতোয়ালী থানার রিয়াজ উদ্দিন বাজারের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এক স্কুলছাত্রীকে (১২) অপহরণ করে স্থানীয় শ্যামলী বোর্ডিং-এ নিয়ে যায় চার আসামি। আসামিরা ওই স্কুল ছাত্রীকে নগরীর শেরশাহ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনায় ২০০৯ সালের ১৬ মার্চ মামলার পর ২১ জুন পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১১ সালের ৩ মার্চ আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় দেন।
পিপি জেসমিনা আক্তার বলেন, অপহরণের অভিযোগে আসামি নাসির, মিলন ও তাহেরকে যাবজ্জীবন এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
এদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়া এলাকায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে অন্য একটি মামলার এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডিত আসামির নাম রফিউল ইসলাম রুবেল। সে স্থানীয় আবদুল সাবেরের ছেলে। রুবেল পলাতক।
এ মামলার অন্য আসামি রুনা আক্তারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
জেসমিনা আক্তার বলেন, স্থানীয় ওই তরুণীকে (১৯) প্রতিবেশী রুনা আক্তারের সহযোগিতায় রুনার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় রুবেল। সে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
“তরুণী প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে রুবেল।”
২০১২ সালের ৬ জানুয়ারির এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদি হয়ে ওই বছরের ১২ জানুয়ারি মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার পাঁচ সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।