সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ: সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করার পাশাপাশি অখণ্ডতা ও শান্তি শৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে মন্তব্য করে সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2015, 11:04 AM
Updated : 1 March 2015, 12:53 PM

রোববার কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর নবগঠিত ১০ পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন শান্তি ও শৃঙ্খলা। কিন্তু সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শুধু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে না, দেশের অখণ্ডতা ও শান্তি শৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।”

দেশের সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে ‘যে কোনো হুমকি’ মোকবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ভূ-কৌশলগত কারণে পাহাড়, সাগর ও সীমান্ত ঘেরা কক্সবাজার বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে দেশের সমুদ্রসীমা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ সেনানিবাস ও সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন যাত্রা শুরু করল।

রামু উপজেলার কুনিয়াপালং, দক্ষিণ মিটাছড়ি ও রাজারকুল ইউনিয়নের ১৭৮০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এ সেনানিবাস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “নিকট অতীতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে এ অঞ্চলের উত্তপ্ত হওয়ার ইতিহাস আছে। এসব কথা মাথায় রেখেই দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হল সেনাবহিনীর নতুন এই পদাতিক ডিভিশন।”

“বিশেষ করে এর মাধ্যমে দেশের নতুন সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সামর্থ্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলো।”

‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়নের’ ধারাবাহিকতায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। দশম পদাতিক ডিভিশনের প্রতিষ্ঠা সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে বর্তমান সরকারের প্রয়াসেরই একটি দৃষ্টান্ত।”

প্রধানমন্ত্রী সকালে রামুতে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল আতাউর হালিম সরওয়ার হাসান তাকে স্বাগত জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রী এ ডিভিশনের সেনা সদস্যদের অভিবাদন ও সালাম গ্রহণ করেন এবং পতাকা উত্তোলন করেন।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ, নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মো. এনামুল বারীসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।