কামারুজ্জামানের আইনজীবীদের হাতে রায়ের অনুলিপি

যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেয়েছে আসামিপক্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2015, 02:55 PM
Updated : 26 Feb 2015, 02:57 PM

কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মনির বৃহস্পতিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ গত ৩ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করে। বিচারকদের স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তা প্রকাশ করে।

এই বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

ওই অনুলিপি হাতে পেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরদিন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে শুরু হয় সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া।

নিয়ম অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আসামিপক্ষ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ওই দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ইতোমধ্যে জানিয়েছেন। 

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মনে করছেন, ১৫ দিনের হিসাব শুরু হবে পূর্ণ অনুলিপি তারা হাতে পাওয়ার পর থেকে।

মৃত্যু পরোয়ানার ভিত্তিতে সরকারের তত্ত্বাবধানে কারা কর্তৃপক্ষ সাজা কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও রিভিউ আবেদন হলে তার নিষ্পত্তি পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করা যাবে না।

একাত্তরে আল বদরের ময়মনসিংহ জেলা শাখা প্রধান কামারুজ্জামানকে ২০১৩ সালের ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের মধ্যে তিনি হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, আপিল বিভাগে যার মামলার নিষ্পত্তি শেষে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হল।

এর আগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে প্রাণদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ যা কার্যকর করা হয় ১২ ডিসেম্বর।

আর জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যার পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি।