বৃহস্পতিবার ভোররাতে একই ভবনে পাশাপাশি অবস্থিত উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে আগুন লাগে।
এই আগুন লাগানো হয়েছে বলে বাঘার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হালদার মনে করছেন। তবে পুলিশের ধারণা, এটি দুর্ঘটনা হতে পারে।
আগুনে ভূমি কার্যালয়ের রেকর্ড কক্ষের মূল্যবান কাগজপত্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের দুটি মোটর সাইকেলসহ সংরক্ষিত বই-পত্র পুড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইউএনও বাদল হালদার সাংবাদিকদের বলেন, “জানালা ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভেতরে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে ভূমি কাযালয়ের রেকর্ড রুমে নিস্পত্তিকৃত বেশকিছু নথি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের বিতরণের পরে বেঁচে যাওয়া প্রায় ৫০০ বই পুড়ে গেছে।”
একই ভবনে অবস্থিত উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নৈশ প্রহরী আব্দুল মান্নান বলেন, ভোররাতের দিকে বিকট শব্দ শুনে ভূমি কার্যালয়ের কাছে গিয়ে আগুন দেখতে পান।
“তালাবদ্ধ কক্ষের ভেতরে আগুন ধরে দরজা, জানালাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যাচ্ছে দেখে আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”
বাঘা থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষের বাইরে তালা লাগানো ছিল। এছাড়াও কক্ষটি প্রাচীর বেষ্টিত।
“এ থেকে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট, কিংবা সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। আবার দুর্বৃত্তরাও জানালা ভেঙে অগ্নিসংযোগ করতে পারে।”
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভূমি কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী জামাত আলী, অফিস সহকারী গোলাম রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবুল কাশেম ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নৈশ প্রহরী আব্দুল মান্নানকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অবরোধ-হরতালে মহাসড়কে নাশকতার পাশাপাশি এর আগে বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি সরকারি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ হয়।