বৃহস্পতিবার এক তথ্যবিবরণীতে এ বিষয়ে আট করণীয় উল্লেখ করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যোগাযোগের একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে।
গায়ে আগুন লাগলে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি না করে মাটিতে গড়াগড়ি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, “পোড়া জায়গায় প্রচুর পানি ঢালুন। তবে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি যেমন- বরফ ও ফ্রিজের পানি দেবেন না।”
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাতের কাছে এক বোতল পানি ও ভেজা কাপড় রাখার পরামর্শ দিয়ে অন্য কেউ আক্রান্ত হলে ভারী কাপড় দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে বলা হয়েছে।
যানবাহন বা আটকা জায়গায় আগুন লাগলে যত দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রোগীকে লম্বা লম্বা শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তার মুখ ও নাক পরিষ্কার করে দিতে বলা হয়েছে।
পুড়ে যাওয়া অংশে পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
আক্রান্ত স্থানে টুথপেস্ট, ডিম, গোবর, বাটা মশলা ও দুধের সর বা অন্য কিছু লাগাতে নিষেধ করা হয়েছে।
পোড়া রোগীর কাছে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, এতে পোড়ার ক্ষতস্থানে সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে মৃত্যু ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
প্রয়োজনে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ০১৭৭৫২৭১১৪১ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে অবরোধ চালিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াত জোট। অবরোধের মধ্যে হরতালও থাকছে তাদের।
হরতাল-অবরোধে যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটছে।
প্রায় দুই মাসের অবরোধে নাশকতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অর্ধেকের বেশি আগুন-বোমায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।