সেই ‘স্বাধীনতা’ না পাওয়ার আক্ষেপ শেখ হাসিনার

বইয়ের প্রতি প্রবল অনুরাগ থাকার পরও সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকায় নিয়মের কড়াকড়িতে এখন ছেলেবেলার মতো বইমেলায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ নেই শেখ হাসিনার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2015, 01:23 PM
Updated : 1 Feb 2015, 01:31 PM

রোববার একুশের বইমেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে নিজের সেই আক্ষেপ প্রকাশ করে এক্ষেত্রে অন্যদের ‘ঈর্ষা’ করার কথাও জানালেন তিনি।

নিজের বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে জানিয়ে অন্য সবাইকেও একই অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে দুঃখের কথা বলেন শেখ হাসিনা।

“যদিও আমার ব্যক্তিগত একটা দুঃখ রয়েছে- রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে এক ধরনের শৃঙ্খলের মধ্যে বন্দি থাকতে হয়। আগে যেমন সেই ছোটবেলা থেকে মনের আনন্দে বইমেলায় ঘুরে বেড়াতাম, সে সুযোগটা আর এখন হয় না।”

“সেই স্বাধীনতা আজ নেই। এ কষ্ট, এ বেদনা আমাকে আরও কিছুদিন ভোগ করতেই হবে,” বলেন তিনি।

মেলা উদ্বোধনের পর কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় কয়েকটি বই হাতে নিয়ে দেখেন তিনি। বিদেশি লেখক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি ও মহাপরিচালকের সঙ্গে বই নিয়ে আলোচনাও করতে দেখা যায় তাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা বইমেলায় আসেন, ঘুরেন, কিনেন, বইয়ের সাধ মেটান; মনে মনে তাদের জন্য হিংসাই হয়; তারা পারেন, আমি কেন পারি না। এটা আমার জন্য খুবই দুঃখের।”

নিজের পাঠাভ্যাসের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “যত ব্যস্তই থাকি না কেন, বই মনের খোরাক। বই পড়া ছাড়া কিভাবে সময় কাটানো যায়, জানি না। শত ব্যস্ততার মাঝে ফাঁক পেলে, সুযোগ পেলে আমি বই পড়ার চেষ্টা করি।”

একুশের বইমেলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এটি শুধু মেলাই নয়, লেখক-প্রকাশক, কবি, সাহিত্যিক ও অন্যদের জনসম্মুখে আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়, জ্ঞানার্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়।”

এবারের বইমেলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলনে অংশ নিতে আসা বিদেশি সাহিত্যিকদের ধন্যবাদও জানান তিনি।

এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রথম সাহিত্য সম্মেলন উদ্বোধন করেছিলেন।