বগুড়া মেডিকেলে পূর্ণাঙ্গ বার্ণ ইউনিট নেই

পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট না থাকায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা চলছে সার্জারি ইউনিটের অধীনে।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2015, 03:49 PM
Updated : 26 Jan 2015, 03:49 PM

এ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, বার্ন ইউনিটের জন্য কোনো ডাক্তার নেই। তাই শুধু হরতাল অবরোধে নয়, অন্য সময়েও পুড়ে যাওয়া রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া যায় না। আশংকাজনক রোগীদের নিয়ে যেতে হয় ঢাকায়।

কয়েকদিন আগে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হন ট্রাক চালক টিটন। এ হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আরাফাত  (৬), বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে আসা অনাদিসহ (৩) ছয় জন পুরুষ ও মহিলা।

ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় এলোমেলোভাবে পড়ে আছে বিছানা। অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় চলছে চিকিৎসা। বার্ন ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা নেই।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা জানান, ভৌগলিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বগুড়ায় পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট প্রয়োজন।

বর্তমানে ১০টি পুরুষ এবং ১০টি মহিলা বেড রেখে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তবে, এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান বিবেচনা করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট করার প্রস্তাবনা দেওয়ার পর তা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, “আশা করছি, দ্রুততম সময়ে এটি হয়ে যাবে। এখন সার্জারি ইউনিটের অধীনে চলছে এসব রোগীদের চিকিৎসা।”

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, ২০১০ সালে হাসপাতলে স্বতন্ত্র বার্ন ইউনিট করা হয়েছে। সেখানে একজন ডাক্তারকেও নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরবর্তী সময়ে বিদেশে যাওয়ার কারণে ওই ইউনিটে আর কোনো ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

“দগ্ধদের এখন চিকিৎসা চলছে সার্জারি ইউনিটের অধীনে,” বলেন তিনি।