পল্টনে মুদ্রা ও সোনা উদ্ধার: রিমান্ডে মোহাম্মদ আলী

রাজধানীর পল্টনের একটি ফ্ল্যাট থেকে পাঁচ বস্তা দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও সোনা উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2014, 02:01 PM
Updated : 27 Dec 2014, 04:50 PM

শনিবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এ কে এম আলী নূর আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান।

শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম এম মাসুদুজ্জামান ছয় দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার আসামির দেশি সহযোগীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার, আরো মালামাল উদ্ধার, সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্রের অন্য সদস্যদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও আরো তথ্য-সাক্ষ্য গ্রহণের লক্ষ্যে কমপক্ষে ১০ দিন সময় দরকার।

শুক্রবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান পল্টন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতে আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ এম ইহছানুল গণি।

আসামির আইনজীবী আদালতে বলেন, “মোহাম্মদ আলীর ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আর তা ছাড়া স্বনামধন্য এ ব্যবসায়ী একজন আয়কর দাতা ও সুনাগরিক।”

বৃহষ্পতিবার রাতে পুরানা পল্টনের ২৯/১ নম্বর বাড়ির সাত তলায় মোহাম্মদ আলীর বাসায় অভিযান চালিয়ে মোট ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা সমপরিমান পাঁচ বস্তা দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও ত্রিশ কোটি টাকা মূল্যের দেড় মণ সোনা জব্দ করে শুল্ক বিভাগ ও পুলিশের গোয়েন্দারা।

উদ্ধারের সময় মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুদ্রাগুলো গণনার পর শুক্রবার রাত ১২টায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগে মহাপরিচালক মইনুল হক বলেন, এই অর্থ ও সোনার উৎস সম্পর্কে মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।