নাটোর দুর্ঘটনার দুমাস পর আরও একজনের মৃত্যু

নাটোরের বড়াইগ্রামে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর দুমাস সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মেনেছেন এক স্কুল শিক্ষক।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2014, 12:38 PM
Updated : 27 Dec 2014, 12:38 PM

মৃত আজাদুল বারী (৩৪) নাটোর সদর উপজেলার ধলাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার চকপাড়া গ্রামের একেন আলীর ছেলে।

ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে আজাদ মারা যান বলে চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন তার বাবা একেন আলী।

গত ২০ অক্টোবর বড়াইগ্রামের রেজির মোড় এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে অথৈ পরিবহন ও কেয়া পরিবহন নামে দুটির বাসের সংঘর্ষে ওই দিনই ৩৬ জন মারা যান। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

বনপাড়া মহাসড়ক থানার ওসি ফুয়াদ রোহানী জানান, স্কুল শিক্ষক আজাদকে নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৮ জনে দাঁড়ালো।

আজাদের বাবা একেন আলী বলেন, ২০ অক্টোবর স্কুল শেষে অথৈ পরিবহনে বাড়ি ফিরছিল আজাদ। ওই দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে নিবিড় পরিচর্যায় থাকাকালে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে আজাদকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুর্ঘটনার দুই মাস সাতদিন পর মৃত্যু হয় আজাদের।