সোমবার ওই দুর্ঘটনার পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নাটোর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করে তাদের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেয়।
কমিটির প্রধান নাটোরের অতিরিক্ত জেলা হাকিম মোহাম্মদ আলী বুধবার রাতেই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে প্রতিবেদনে- জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মশিউর রহমান কোনও কিছু এখনি বলতে রাজি হননি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রশাসনিক শৃঙ্খলার কারণে এই মুহূর্তে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। এই প্রতিবেদন আজই ঢাকায় পাঠানো হবে। মাননীয় মন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেন।”
তবে প্রতিবেদনটি দেখেছেন- প্রশাসনের এমন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই দুর্ঘটনার জন্য ওভার টেকিংকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।”
চালকের দোষেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও তার ধারণার কথা বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন।
তদন্ত শেষের আগে ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যেখানে দুর্ঘটনা হয়েছে সেখানে রাস্তা ভাল ছিল। বেপরোয়া চালকদের জন্যই এ দুর্ঘটনা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এটি আমার ব্যক্তিগত ধারণা।”
দুর্ঘটনাস্থল রেজির মোড়ের বাসিন্দা জাকির হোসেনও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কেয়া পরিবহনের বাসটি একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে অথৈ পরিবহনের বাসকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়।
এই দুর্ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিতে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) এবং বিআরটিএ-র সহকারী পরিচালক।