শনিবার দুপুরে আগ্রার তাজমহলে যান রাষ্ট্রপতি। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে কাটান তিনি। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসময় তাজমহলের স্থাপত্য শৈলীর নানা দিক রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি তাজমহল ১৭ শতকে নির্মাণ করা হয়। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার তৃতীয় স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগমের (মমতাজ মহল নামে পরিচিত) প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এই সৌধ নির্মাণ করেন। সাদা মার্বেলের এই স্থাপনা ১৬৩১ থেকে ১৬৪৮ সালে নির্মিত হয়।
ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থাপনাকে ১৯৮৩ সালে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে ইউনেস্কো।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বছরে ৭০ থেকে ৮০ লাখ পর্যটক তাজমহল পরিদর্শনে যান। এদের মধ্যে আট লাখই বিদেশি পর্যটক।
পরে বিকেলে রাষ্ট্রপতি আগ্রা ফোর্ট পরিদর্শন করেন। দিনের শেষ আলোয় মুঘল স্থাপত্যের এই অনন্য নিদর্শন ঘুরে দেখেন আবদুল হামিদ। ১৯৮৩ সালে এই স্থাপত্যকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করা হয়।
তাজমহল ও আগ্রা ফোর্ট পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রপতি সেখানকার পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
দুপুরের আগে ‘এয়ার ইন্ডিয়ার’ একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়া দিল্লি থেকে আগ্রা পৌঁছান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লি পৌঁছান আবদুল হামিদ।
জয়পুর ও কলকাতা সফরেরও কথা রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির।