দিল্লিতে রাষ্ট্রপতিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রপতি হিসাবে ভারত সফরে গিয়ে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন মো. আবদুল হামিদ।

সাজিদুল হক নয়াদিল্লী থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2014, 09:16 AM
Updated : 18 Dec 2014, 11:42 AM

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি।

বিমানবন্দরে আবদুল হামিদকে অভর্থ্যনা জানান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং, বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।

পরে আবদুল হামিদকে মোটর শোভযাত্রা  করে নিয়ে যাওয়া হয় নয়াদিল্লীর রাষ্ট্রপতি ভবনে। নয়াদিল্লীতে রাষ্ট্রপতি সেখানেই অবস্থান করবেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে এমন এক সময়ে আবদুল হামিদ প্রতিবেশী এই দেশে সফরে গেলেন, যখন স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে একটি বিল ভারতীয় পার্লামেন্টে প্রক্রিয়াধীন।

ছয় দিনের এই সফরে দিল্লি ছাড়াও আগ্রা, জয়পুর ও কলকাতায় যাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তার স্ত্রী রাশিদা খানমও সঙ্গে রয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও  রয়েছেন।

গত মে মাসে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান সেদেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাষ্ট্রপতি তার ভারত সফরে প্রণব মুখার্জি ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রাজ্যসভায় বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।”

প্রণব মুখার্জির সঙ্গে আবদুল হামিদের বৈঠক হবে শুক্রবার। সেদিন ভারতের রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজেও তিনি অংশ নেবেন।

সফর শেষে ২৩ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে আবদুল হামিদের।

সর্বশেষ ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে তখনকার রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভারত সফর করেন। এরপর দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রপতি প্রতিবেশী দেশটিতে সফরে যাননি।