দিল্লি গেলেন রাষ্ট্রপতি

স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে নতুন অগ্রগতির মধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে নয়া দিল্লি গেলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2014, 05:15 AM
Updated : 21 Dec 2014, 02:01 PM

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ‘ভিআইপি’ ফ্লাইটে রাষ্ট্রপতি ঢাকা ত্যাগ করেন।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তিন বাহিনীর প্রধান ও ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান। 

এই সফরে দিল্লি ছাড়াও আগ্রা, জয়পুর ও কলকাতায় যাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। স্ত্রী রাশিদা খানমও তার সঙ্গে রয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও রয়েছেন।

গত মে মাসে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান সেদেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাষ্ট্রপতি তার ভারত সফরে প্রণব মুখার্জি ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রাজ্যসভায় বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।”

প্রণব মুখার্জির সঙ্গে আবদুল হামিদের বৈঠক হবে শুক্রবার। সেদিন ভারতের রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজেও তিনি অংশ নেবেন।

দিল্লি সফরে আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি ভবনেই থাকবেন। ২৩ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ছিটমহল বিনিময়ে সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধন বিল যখন রাজ্যসভায় তোলার প্রক্রিয়া চলছে, তখনই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির এই সফর।

গত ২৬ নভেম্বর কাঠমান্ডুতে সার্ক সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর এবং তিস্তা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে ‘জোর’ প্রচেষ্টার কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময়ের জোর বিরোধিতাকারী রাজ্য আসামে গিয়েও মোদী বলেন, এ চুক্তি কার্যকর হলে আখেরে ওই রাজ্যেরই  লাভ হবে।

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয় স্থল সীমান্ত চুক্তি। আর ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় একটি প্রটোকল সই হয়।

প্রটোকলটি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে সময় বিরোধী দলে থাকা নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় বিষয়টি ঝুলে যায়।

তবে নানামুখি চাপে থাকা মমতা ৬৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটির সমাধানে সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর।