বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল উপজেলা প্রশাসন ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল গণি বোখারি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারা মঞ্চ থেকে নেমে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান বর্জন করে বেরিয়ে যান।
কুচকাওয়াজের সালাম ও অভিবাদন গ্রহণের জন্য মঞ্চে ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুন নাহার, থানার ওসি পরিল কুমার চক্রবর্তী ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল গণি বোখারি।
কমান্ডার গণি বোখারি আরও বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানে ‘জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নীরবে বের হয়ে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তবে এ ঘটনাকে ‘স্লিপ অব টাং’ বলে উল্লেখ করেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুন নাহার।
দুর্গাপুর থানার ওসি পরিল কুমার চক্রবর্তী বলেন, কুচকাওয়াজের জন্য ‘বাংলাদেশ চিরজীবী হোক’ শ্লোগানই শেখানো ছিল। কিন্তু ওই সময় কেউ বাংলাদেশ চিরজীবী হোক আবার কেউ কেউ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন। আগে রিহার্সেল দেওয়ার পরও অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলটি হয়ে গেছে।"
অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য প্যারেড কমান্ডারের পক্ষে তিনি নিজে মাইকে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান ওসি।