গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. বিপ্লব মোল্লা (২৮), মো. রাজা প্রামাণিক (৩৮) এবং মো. শাহানুর শেখ (২২) ।
র্যাব ৪ এর অধিনায়ক সাহাবউদ্দিন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদক ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে ধানমণ্ডির আইএসটি বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বীকে (২২) অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
“হত্যায় জড়িত থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে পাবনা থেকে বিপ্লব ও রাজা এবং ঢাকার উত্তরা থেকে শাহানুরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।”
মূলত অপহরণ করে মুক্তিপণ নেয়াই ছিল গ্রেপ্তারদের উদ্দেশ্য বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা সাহাবউদ্দিন খান।
তিনি জানান, গত ১৯ নভেম্বর ধানমণ্ডির রাব্বীকে কল্যাণপুরের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় ‘অপহরণকারী’রা। পরদিন তার বাবা আনোয়ার হোসেনের মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
ওইদিনই আনোয়ার র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে র্যাব ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব কর্মকর্তা সাহাবউদ্দিন খান বলেন, “গ্রেপ্তাররা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে, রাব্বি কল্যাণপুরে ছোটখাটো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। অপহরণকারীরা ছিল তার পূর্ব পরিচিত। পাবনায় ইয়াবার বড় চালানের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রেপ্তাররা রাব্বিকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
“এরপর পাবনা জেলার সাথিয়া থানার হুইখালী নইলার বিল এলাকায় নেওয়ার পর রাব্বিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ একটি নর্দমায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল।”
অপহরণের দিনই রাতে তারা রাব্বিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা সাহাবউদ্দিন খান।
তিনি জানান, গত ২৫ নভেম্বর সাথিয়া থানা পুলিশ রাব্বির লাশ উদ্ধার করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপমৃত্যু মামলাও করে। নিহতের পরিবার পাবনা গিয়ে লাশ সনাক্তের পর তা বুঝে নেয়।
গত ২৭ নভেম্বর পাবনার সাথিয়ায় অভিযান চালিয়ে কাশিনাথপুর বাজার এলাকা থেকে বিপ্লব ও রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই উত্তরা থেকে শাহানুর গ্রেপ্তার হয়।
রাব্বি মিরপুর থানার কল্যাণপুর এলাকায় ৭ নম্বর রোডের চার নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।