বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ বিষয়ে প্রকাশিত খবরে মন্তব্যকারীদের অনেকেই বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার ‘তত্ত্ব’ হাজির করেছেন।
মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনায় ফেইসবুকে মন্তব্যকারীদের কয়েকজন ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ থাকার কথা বলেছেন। মোবাইল বা ফেইসবুক বন্ধের চিন্তা বাদ দিয়ে প্রয়োজনে একটি ‘টেকনিক্যাল কমিটি’ করে প্রশ্ন ফাঁসের কারণ খোঁজার পরামর্শও এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি, এইচএসসি, জেএসসি, এমনকি চলমান প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাতেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রীরা বরাবরই তা অস্বীকার করে এলেও প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে আসছেন।
এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যে দৃশ্যত দিশেহারা শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বৃহস্পতিবার এক সভায় বলেন, “আগামী প্রজন্ম মোবাইল ফোনের জন্য নষ্ট হয়ে যাবে তা ঠিক নয়। প্রয়োজনে আইন দেখেন- প্রয়োজনে পরীক্ষার দিন মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেব। প্রয়োজনে ফেইসবুকও বন্ধ করে দেব।”
বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ফেইসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের প্রচারণা হয় অভিযোগ করার পাশাপাশি তিনি বলেন, “প্রশ্ন ফাঁস করে কেউ পার পাবে না। কেউ এখানে হাত দেবেন না। হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে, হাত ভেঙে দেব।”
এ সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় একজন পাঠক মন্তব্যে লিখেছেন, সমস্যার শুরুটা ফেইসবুকে প্রশ্ন ছড়ানোয় নয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মধ্যে। মন্ত্রীকে এ বিষয়টি আগে বুঝতে হবে।
‘বাঙালী বাংলাদেশী’ ছদ্মনামে একজন মন্তব্য করেছেন ‘বাহ বাহ! ডিজিটাল বাংলাদেশের আসল নমুনা! মাথা ব্যাথায় মাথা কাট!’
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক ফ্যান পেইজে একই ধরনের মন্তব্য এসেছে রাশেদুল কবিরের কাছ থেকেও। মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, “স্যার, শেষ পর্যন্ত মাথাটাই কেটে ফেলবেন .................. ??”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত খবরে রনি নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “এতো দেখা যায় রাজা হবুচন্দ্রের জুতা আবিস্কারের মতো কাহিনী! পায়ে ধুলা লাগে বলে রাজার পরামর্শে সারা পৃথিবী চামড়ায় মুড়ে দাও! উপরওয়ালার কাছে হাত তুলে আর্জি জানাচ্ছি, একটা মন্ত্রী গবুচন্দ্র যেন এসে রাজাকে বোঝায়, হে রাজা, নিজের পাটুকু আগে ঢাকুন চামড়ায়, তাহলেই হবে।”
মোহাম্মদ মাহাবুব হোসেন নামের এক পাঠক মনে করেন, কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে দিলেই ৯০% সমস্যা মিটে যাবে।
ফেইসবুকে যারা পরীক্ষার আগেই ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্ন’ তুলে দিচ্ছেন- তাদের কেন ধরা হচ্ছে না সে প্রশ্ন তুলেছেন এস এম শাহাদাত হোসাইন নামের এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী।
‘ইম্পিরিয়াল লুক’ ছদ্মনামের একজনের মন্তব্য- “মন্ত্রী দাদা, সৎ কোনো Auditor দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে শেষ বিতরণ পর্যন্ত পুরো process flow টাকে Audit করান। দেখবেন আপনি নিজে চাইলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারবেন না।”
এই পাঠকের ভাষায়, এটা ‘মাথা খাটনোর’ কাজ; দলাদলি, মারামারি, হাত-পা ভাঙা’ বা আইন প্রণয়নের কাজ নয়।
“এখানে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হওয়ার কথা।”
আকিব, অনিরুদ্ধ দাশসহ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন।
নাজমুল নামের একজন লিখেছেন, “মন্ত্রী সাহেব, আপনি এইভাবে কমেন্ট না করে টেকনিক্যল কমিটি করুন, যারা আবশ্যই আপনাকে ভাল কোনো সুপারিশ দিতে পারবে।”
ওমর লিখেছেন, “প্রবলেমটা ফেবুতে কোশ্চেন ছড়ানো নয়, প্রবলেমটা কোশ্চেন ফাঁস হওয়া- এটা এদের বোঝানো পসেবল না, কারণ যারা জেগে জেগে ঘুমায় তাদের পানিতে চুবায়ে উঠানো যায় না।”
মো. বদিউজ্জামান বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক ফ্যান পেইজে লিখেছেন, বিজি প্রেসে যারা প্রশ্ন ছাপানোর কাজে জড়িত, তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের ফেইসবুক পেইজ (https://www.facebook.com/bdnews24) বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ফ্যান পেইজগুলোর মধ্যে লাইক-দাতার সংখ্যা অনুযায়ী নিয়মিত প্রথম সারিতে অবস্থান করে। এই পেইজের মন্তব্য উন্মুক্ত এবং দায় মন্তব্যদাতার।