রোববার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।
সমাবেশে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ আজম বলেন, “আমরা তিনদিন ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।
“আর যেন কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর অপমৃত্যু না হয় তার নিশ্চয়তা চাই। শফিউলের প্রকৃত খুনিদের শাস্তি না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাটা রুটিন হয়ে উঠবে।”
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র বলেন, “আমরা যদি আগের হত্যাগুলোর বিচার পেতাম, তাহলে আজ শফিউলকে হারাতে হতো না। আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হচ্ছে যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, মরমীবাদের কথা বলে কিংবা যারা প্রকৃত অর্থেই প্রগতিশীল তাদের হত্যার বিচার হয় না।”
“আমরা কি শফিউল হত্যার বিচার আদৌ পাব না?”
প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাবেক আহ্বায়ক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যারই এটি একটি অংশ। যারা স্বাধীনতার কথা বলে, ন্যায়ের কথা বলে তাদেরকে এমন করেই জীবন দিতে হচ্ছে কিন্তু বিচার পাওয়া যাচ্ছে না।
“স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার বিরোধীরা আমাদের প্রিয় প্রগতিশীল শিক্ষক শফিউলকে হত্যা করেছে। আশা করি, সরকার প্রকৃত খুনিদের বের করে শাস্তি দেবে।”
গত ১৫ নভেম্বর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজের বাসার কাছেই খুন হন লালনভক্ত শফিউল।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বলেছে, শফিউল হত্যার তদন্তে ‘জামায়াত নিয়ন্ত্রিত’ জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে তারা।
ওই ১১ আসামির সবাই জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত বলেও আদালতকে জানানো হয়েছে।