বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর ডবলমুরিং থানার ঢাকা ট্রাঙ্ক (ডিটি) রোডে সিডিএ পরিচালিত অভিযানে নয়টি অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের চতুর্থ দিনে গতি পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) অভিযানও। এদিন মোট ১১টি অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেছে সিসিসি।
সিডিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল হাশেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডিটি রোড সিডিএ’র মালিকানাধীন। কিন্তু এখানে সিটি করপোরেশন অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
“ওই সড়কে আরও চারটি অবৈধ বিলবোর্ড আছে। সেগুলো পরে অপসারণ করা হবে। এছাড়া নগরীতে সিডিএ’র মালিকানাধীন ১২টি সড়কে থাকা সব অবৈধ বিলবোর্ড ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ করা হবে।”
উচ্ছেদ করা বিলবোর্ডগুলোর মালিক মহিউদ্দিন বাচ্চু, আরশেদুল আলম বাচ্চু, সনৎ বড়ুয়া ও মো. মুসাকে মোট ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান আবুল হাশেম।
এদিকে আগ্রাবাদ ও বাদামতলি মোড় এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিনের নেতৃত্বে ১১টি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে সিসিসি।
নাজিয়া শিরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলা অভিযানে ১১টি অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে মালিকদের মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
তবে এ সম্পর্কে জানতে সিসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক ও রাজস্ব কর্মকর্তা শামসুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউই এসব বিলবোর্ডের মালিকদের নাম বলতে পারেননি।
এই দুই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবারের অভিযানে যাননি বলেও দাবি করেন।
এর আগে বুধবার নগরীর প্রবর্তক মোড়-গোল পাহাড় এলাকায় পাঁচটি, সোমবার টাইগার পাস এলাকা থেকে তিনটি এবং রোববার অভিযানের প্রথম দিনে ওয়াসা মোড় থেকে লালখান বাজার এলাকায় ছয়টি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে সিসিসি।
দীর্ঘদিন ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বন্দর নগরীর অবৈধ বিলবোর্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন।
গত চার বছরে সিসিসি মাত্র ৬৮টি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে।
এ পরিস্থিতিতে গত ১৩ নভেম্বর এক সভায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল বিলবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন।
এর পরের দুই দিন নগরীতে মাইকিং শেষে ১৬ নভেম্বর থেকে সিসিসি’র তালিকা অনুসারে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়।
সিসিসি’র করা তালিকা অনুযায়ী নগরীতে বৈধ বিলবোর্ড ছয় হাজার ৪৮৫ আর অবৈধ বিলবোর্ডের সংখ্যা ৩৫৪টি।