বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
এ মামলায় দণ্ডিত আসামিরা হলো, মো. মাসুদ ও আবদুল আজিজ। ঘটনার পর থেকে তারা দুই জনই পলাতক রয়েছে।
“অপহরণ ও ধর্ষণের উভয় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. মাসুদকে দুইবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। সাজা দুটি একটির পর একটি কার্যকর হবে।“
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালে আসামি আবদুল আজিজ ও মাসুদ নগরীর কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডের বাসিন্দা ছিল।
১৯৯৯ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে দণ্ডিতদের প্রতিবেশি ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী রাতের খাবার শেষে টিউবওয়েলে হাত ধুতে যায়।
এসময় মাসুদ ও আজিজ ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে কদমতলী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে মাসুদ।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ১৬ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মোট পাঁচ জনের সাক্ষ্য নেয়ার শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেয়।