এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় চারজনকে আসামি করে ইমতিয়াজ শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে ওসি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ইমতিয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার এক ভাগ্নী কানাডা প্রবাসী, অপরজন একটি মানবাধিকার সংস্থায় কাজ করেন। কানাডা প্রবাসী ভাগ্নী এক সপ্তাহের জন্য দেশে এসেছেন।
“তাদের দুইজনকে রিক্সায় করে কার্জন হল দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। এক পর্যায়ে আমরা শহীদুল্লাহ হলের পুকুরঘাটে গিয়ে বসি। তিনজনে মিলে গল্প করার এক পর্যায়ে চারজন ছাত্র এসে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কি না জানতে চান।
“বহিরাগত হিসেবে পরিচয় দিলে অকস্মাৎ মারধর শুরু করেন।”
এসময় ইমতিয়াজের মাথায় আঘাত লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে শাহবাগ থানার ওসি জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হামলাকারীরা সবাই শহীদুল্লা হলের শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মাসুম নামে একজনের নাম বলেছেন কয়েকজন।
এ বিষয়ে শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, তারাও হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। পেলে আইনের হাতে সোপর্দ করবেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ আলীর বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।