হরতালে আগে বাসে আগুন, হাতবোমা বিস্ফোরণ

মতিউর রহমান নিজামীর রায়ের পর তার দল জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের আগে রাজধানীতে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে কয়েকটি হাতবোমা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2014, 03:24 PM
Updated : 29 Oct 2014, 03:24 PM

বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা পেট্রোল পাম্পের কাছে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

খবর পেয়ে গিয়ে অনাবিল পরিবহনের ওই বাসের আগুন নেভানো হয় বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ফারহাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

কারা আগুন দিয়েছিল বা কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমরানুল ইসলাম।

এর আগে বিকালে ধানমণ্ডিতে আবাহনী মাঠের কাছে দুটো হাতবোমা বিস্ফোরিত হলে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ধানমণ্ডি থানার ওসি আবু বকর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্টার কাবাবের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়, তবে কেউ আহত হয়নি।”

উঁচু কোনও ভবন থেকে বোমা দুটি ছোড়া হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। তবে কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি তারা।

রামপুরা বাজারের কাছেও একটি হাতবোমা ফাটানো হয়।

রায়ের পর গুলশান, মুগদা ও মতিঝিলে জামায়াতকর্মীরা মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। রাজধানীর বাইরেও দলটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত আমির নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বুধবার দুপুরে রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর পরপরই জামায়াত বৃহস্পতি, রোব ও সোমবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকে।

এই রায়কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়, নামানো হয় বিজিবি।

হরতাল ডাকার পর বুধবার সন্ধ্যা থেকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি কাজ করছে বলে বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসীন রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদেরও প্রস্তুতি রয়েছে।

“জানমালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। যে কোনও ধরনের ফৌজদারি অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ হাসানও বলেন, যে কোনও ধরনের নাশকতা এড়াতে তারা সজাগ রয়েছেন।