‘শিক্ষকের ধর্ষণের’ শিকার শিশুছাত্রী

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে নয়দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2014, 01:15 PM
Updated : 27 Oct 2014, 01:15 PM

উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে মেয়েটি (১৩) সোমবার আদালতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জবাববন্দি দেয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মামলা দায়ের করেছেন।

মেয়েটি শাহজাদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের ঠুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

শিক্ষক সবুর হোসেন (৪৫) ভাটদিঘুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ঠুটিয়া গ্রামের প্রয়াত সমশের সরদারের ছেলে। তিনি শাহজাদপুর পৌর শহরের দরগাপাড়ায় মানিক মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন।

(প্রতীকী ছবি)

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছর ভাটদিঘুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেয়েটি ঠুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থা থেকেই প্রধান শিক্ষক মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতেন।

মাসখানেক আগে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্কুল থেকে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে যান ওই শিক্ষক। পথে এনায়েতপুর কেজির মোড়ে আকস্মিক মেয়েটির চাচার সঙ্গে দেখা হলে সে তার সঙ্গে বাড়ি ফিরে যায়।

এরপর গত ১৮ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে কৈজুরী ব্রিজের কাছ থেকে ওই শিক্ষক জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে মেয়েটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

শাহজাদপুর থানার ওসি হাসান শামীম ইকবাল জানান, ঘটনার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

রোববার রাতে ওই শিক্ষক লোক মারফত শিশুটিকে থানায় পাঠিয়ে দেন। শিশুটিকে রাতে থানায় রেখে সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। এরপর তাকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেছেন।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি সেখ আব্দুল হামিদ লাবলু জানান, সোমবার বিকালে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) নাসির উদ্দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় শিশুটির জবাববন্দি রেকর্ড করেন।