আয়োজক কমিটির সদস্য কাঁঠালবাড়ি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মাওলানা মোশারফ হোসেন, পরে মুফতি আতাউর রহমান, মাওলানা মুনির ও চট্টগ্রামের ড. মহিউদ্দিন খান আম বয়ান করেন।
দুপুরে ইজতেমার মাঠ, আশপাশের সড়ক, স্কুল ও ঈদগাঁ মাঠে জুম্মার নামাজ আদায় করেন লাখো মুসল্লি। রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের মুসল্লিরা কুড়িগ্রাম মার্কাস মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মাওলানা মোশারফ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে জানান ইজতেমা কমিটির ওই সদস্য।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে ইজতেমার কাযর্ক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইজতেমায় জুমার নামাজে অংশ নেয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা ছাড়াও স্থানীয়রাও সমবেত হন। এতে শিশু ও কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ইজতেমাকে ঘিরে আশপাশের এলাকায় বসেছে অস্থায়ী দোকান। খাবার থেকে শুরু করে টুপি, জায়নামাজ, তসবি, আতর, ধর্মীয় বই, বিভিন্ন ধরনের পোশাক মিলছে এখানে।
১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন শরু হয়। মুসুল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার ফলে টঙ্গীতে স্থান সংকুলানে ঝামেলায় পড়তে হয় আয়োজকদের।
চলতি বছর বিশ্ব ইজতেমা কমিটি (টঙ্গীর) এর বাইরে দেশের ৫টি জেলায় মিনি ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকে তাবলিগ জামাত কুড়িগ্রাম জেলা কমিটি তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করে।