নিহত সুমনকে (৩৫) মোটেলের বারান্দা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তিনি বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের আমির আলীর ছেলে। ট্যাক্সিচালক ছিলেন তিনি।
বেনাপোল বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বেনাপোল পর্যটন মোটেলের ২০৭ নম্বর কক্ষের পিছনের নর্দমা থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
“এ ঘটনায় আটক তরুণী (২০) যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাসিন্দা। ঘটনাটি হত্যা, না কি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
তবে নিহতের ছেলে শিমুল দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে মোটেলের পিছনের বারান্দা থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
মোটেলের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত সুমন ও ওই তরুণী বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পর্যটন মোটেলের দ্বিতীয় তলার ২০৭ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। রাত ১০টার দিকে ওই রুমের পিছনের দিকের নর্দমায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানানো হয়।
এরপর খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার ও ওই তরুণীকে পুলিশ আটক করে বলে ওসি অপূর্ব হাসান জানান।
তিনি বলেন, “ওই তরুণী প্রায়ই বিভিন্ন লোকের সঙ্গে পর্যটন মোটেলে আসতো বলে জানতে পেরেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।”
ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে লাশ যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।