সোমবার বিকালে বাগেরহাটের নির্বাহী হাকিম শাহ মো. রফিকুল ইসলাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এ দণ্ড দেন। পরে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং ভেজার মধু নষ্ট করা হয়।
নির্বাহী হাকিম শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশের হাতে আটক চার ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে বিচার করা হয়।
এ সময় কাটাখালী এলাকার সাধারণ মানুষ ওই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ভেজাল মধু তৈরি ও বিক্রি করে আসছিল বলে সাক্ষিরা অভিযোগ করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আশরাফ আলী জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে কাটাখালী এলাকায় একটি ঘরে তৈরি করার সময় ২০ কেজি ভেজাল মধু ও সরঞ্জামসহ চার যুবককে আটক করা হয়।
ওই ঘর থেকে ২০ কেজি মধু, একটি স্টোভ, কয়েকটি টিনের হাড়ি, প্লাস্টিকের বালতি ও মৌমাছির চাক উদ্ধার করা হয়।
তারা স্টোভে চিনি জ্বাল দিয়ে তাতে মধুর ঘ্রানযুক্ত রাসায়নিক মিশিয়ে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
দণ্ডিতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিটঘর এলাকার মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩০), সৈয়দটোলা গ্রামের এনাব আলীর ছেলে নওয়াব আলী (২৫) ও দুদ মিঞার ছেলে আব্দুর রহমান (২৫) এবং বিজয়নগর উপজেলার ডালফা গ্রামের সাঈদ মিঞার ছেলে রমজান মিঞা (৩৫)।