‘দেশের সবচেয়ে বড় দুর্গামণ্ডপ বাগেরহাটে’

আসন্ন দুর্গাপূজায় বাগেরহাটের মণ্ডপগুলোতে যেন প্রতিমা তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে বছরের পর বছর ধরে।

অলীপ ঘটকবাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 01:55 PM
Updated : 20 Sept 2014, 01:55 PM

জেলায় এবার দেশের সবচেয়ে বড় দুর্গামণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এর আয়োজক ডা. দুলাল শিকদারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা।  

সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের বাড়িতে তার মণ্ডপে রাজবাড়ীর ভাস্কর কার্ত্তিক শর্মা তৈরি করেছেন ৪০১টি প্রতিমা। গত পাঁচ মাস ধরে কার্ত্তিক শর্মা ১৪ জন সহকারী নিয়ে গড়ছেন এ প্রতিমা।

গত চার বছর ধরে মহাধূমধামে পূজা হয়ে আসছে এখানে। দিনদিন প্রতিমার সংখ্যা শুধু বাড়ছেই।

এবারের দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। শারদীয় এ উৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এরইমধ্যে শুরু করেছে আয়োজনের তোড়জোড়। 

দুলাল শিকদারের মণ্ডপ ছাড়াও বাগেরহাট জেলায় এ বছর ৫৭১টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা হতে যাচ্ছে  বলে জানালেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায়।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রতিবছরের মতো এবছরও জাঁকজমকের কমতি নেই পূজায়। জেলায় বেশ কয়েকটি মন্দিরে শতাধিক প্রতিমা দিয়ে মণ্ডপ গড়া হচ্ছে। ভাস্কররা দিনরাত পরিশ্রম করছেন প্রতিমা তৈরিতে।

অধিকাংশ মণ্ডপে মাটির কাজ প্রায় শেষ। কোনো কোনো মণ্ডপে প্রতিমায় রঙের কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সব মণ্ডপেই রঙের কাজ শেষ হবে। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি চলছে সাজসজ্জ্বার কাজ।

মন্দিরগুলোকে আকর্ষণীয় করতে কয়েক বছর ধরে বাগেরহাট জেলায় প্রতিযোগিতা চলছে। দুর্গোৎসবের সময় এসব মন্দিরে জেলার বাইরের দর্শনার্থীদেরও ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদরের কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরেও দিনদিন প্রতিমার সংখ্যা বাড়ছে। এখানে এবার ২৫১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। গত বছর ছিল ২০১টি।

চুলকাঠি বাজারের বণিকপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, পোলঘাট সার্বজনীন পূজা মন্দির ও ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা মমতলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরের প্রতিটিতে শতাধিক করে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।

রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরে ২৫১টি প্রতিমা করা হয়েছে।

কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার সেন বলেন, “রামায়ণের কাহিনি থেকে এসব দেবদেবীর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।”

ভাস্কর মিলন কুমার পাল বলেন, “হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনির নানা দেবদেবীর প্রতিমূর্তির ধারণায় প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।”