২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর বক্তৃতা দেবেন; একই দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2014, 03:34 PM
Updated : 19 Sept 2014, 03:34 PM

জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে এক সপ্তাহের সফরে ২২ সেপ্টেম্বর সকালে নিউইয়র্কে পৌঁছবেন তিনি।

শুক্রবার সকালে (বাংলাদেশ সময়) জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন।  এতে সফরে প্রধানমন্ত্রীর বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।

মোমেন বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের কারণে এবারের অধিবেশনের প্রায় প্রতিটি পর্বেই শেখ হাসিনার বক্তব্য বিশেষ দিক নির্দেশনা হিসাবে গুরুত্ব পাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেন্ট্রাল পার্কের একটি বড় সমাবেশে দক্ষিণ এশিয়ার স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্য গাথা উপস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা বাংলাদেশের জন্যে বিরল একটি অর্জন।

ওই সমাবেশে জাতিসংঘ মহাসচিব বানকি মুন ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামাসহ অন্তত ১০টি রাষ্ট্রের শীর্ষনেতাদের বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিখ্যাত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন বলে জানান তিনি।

২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছার পর ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।  এর মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার আমন্ত্রণে ডিনার পার্টি ও জাতিসংঘ মহাসচিবের মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে ছেলে-মেয়ে-নাতি-নাতনিসহ স্বজন নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করবেন শেখ হাসিনা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মামুন-অর রশীদ।

তিনি বলেন, “আইনের শাসন, শান্তির সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়া, শান্তি উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, মানুষের পুষ্টির নিশ্চয়তা ও প্রতিবন্ধীদের মানসিক বিকাশসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবারের অধিবেশনে।”

প্রতিবারের মতো এবারও সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় দেওয়া বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা, অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার আদায়, দারিদ্র্য দূরীকরণে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গৃহীত কার্যক্রমসমূহ, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি এবং অধিবেশনের প্রতিপাদ্য বিষয় ২০১৫-পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশের অবস্থান ও অবদানের কথা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমান, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বরুন দেব মিত্র ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারুজ্জামান।