উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে নয়টি এসএমজি, একটি এমএমজি, একটি বেটাগান, একটি ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের অটোরাইফেল, ছয়টি এসএলআর, দুটি এলএমজি, একটি স্নাইপার টেলিস্কোপিক সাইট ও ২৪০০ গোলাবারুদ।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, গত ২৯ অগাস্ট থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সাতছড়ির সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে টিলার মাটির নিচের গর্ত ও বাংকার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়।
এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়।
মুফতি মাহমুদ জানান, র্যাব-৯ এর বম্ব ডিসপোজাল দল এবং গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, “এসব অস্ত্র কার তা এখনো নিরুপণ করা যায়নি। এর সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।”
এর আগে গত ১ জুন থেকে ১৯ জুন সাতছড়ির সংরক্ষিত বনাঞ্চলে টিলার মাটির নিচের গর্ত ও বাংকার থেকে চারটি ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের মেশিন গান, মেশিন গানের পাঁচটি অতিরিক্ত ব্যারেল, ২২২টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৪৮টি রকেটের চার্জ, ৭ দশমিক ৬২- ৩৯ মিলিমিটার বোরের ১১ হাজার ৫৮০ বুলেট, ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বোরের ২৮৪টি মেশিন গানের বুলেট, ৭ দশমিক ৬২-৫৪ মিলিমিটার বোরের ৪৪০টি বুলেট, ১৯টি মিশন গানের ড্রাম এবং যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে র্যাব।”
ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় মামলা হয়। এরপর সেখানে র্যাবের অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হলেও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল বলে জানান মুফতি মাহমুদ।
তিনি বলেন, “সাতছড়ি এলাকায় র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের টিম এখনও মাঠে রয়েছে। তদন্তের পর সব তথ্য আপনাদের জানানো হবে।”
র্যাবে দায়িত্বরত উইং কমান্ডার রিয়াদ, স্কোয়াড্রন লিডার মো. মোছাব্বিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।