র্যাবের এসআই ফেরদৌস আরা শুক্রবার রাশেদা খানম পারভীন (৪৮) ও বেলি আক্তার রহিমা (৪৫) নামের দুই আসামিকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে এর বিরোধিতা করে দুই নারীর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী জুলফিকার আলী।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম জয়নব বেগম জামিন নাকচ করে দুইজনকে ৩ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে জানান আদালতের কোর্ট হাজতের দায়িত্বে থাকা উপ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রুনা আক্তার গত ২০ অগাস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যমজ সন্তানের জন্ম দেন। পরদিন ভোরের দিকে তার একটি ছেলেকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান পারভীন, যিনি আরেক রুগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ওই পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করেন।
এ ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
চুরি হওয়ার আট দিনের মাথায় বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে বেলি আক্তার রহিমার বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র্যাব। ওই অভিযানেই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার উত্তরায় র্যাব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
র্যাব বলছে, রাশেদা খানম পারভীন একজন প্রশিক্ষিত ধাত্রী। গত ২১ অগাস্ট তিনি হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে চুরি করেন এবং ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিঃসন্তান রহিমার হাতে তুলে দেন ওই নবজাতককে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, পারভীন বিভিন্ন সময়ে অনেকের সঙ্গে চুক্তি করে শিশু চুরি করে আসছিলেন। তিনি জন্মের পর মা-বাবাকে বলতেন, শিশুটি মারা গেছে। পরে তিনি শিশুটি অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতেন।”