সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল জানান, শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে ১৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
তিনি বলেন, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বেড়ে গেছে। নদীর প্রবল স্রোতের কারনে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে প্রচণ্ড চাপ পড়ছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পানির প্রবল তোড়ে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই এলাকায় অবস্থিত রিংবাঁধ ধসে নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজিপুরের ইউএনও শাফিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ ধসের কারণে নতুন করে অন্তত ছয়শ' পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও কাজিপুর থানার কাছে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের উপরে পানি ওঠেছে। সড়ক বিভাগ সেখানে বালির বস্তা ফেলে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
প্লাবিত এলাকাগুলোতে সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ তৎপরতা দেখা গেলেও বেসরকারিভাবে ত্রাণ নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
এদিকে জেলার চরাঞ্চলে প্রায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি এক থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে বাড়ছে ডাইরিয়া, আমাশয়সহ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।
সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যার্তরা এখনো কোন ত্রাণ পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন বলেন, নতুন করে পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়াসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ত্রাণ বিতরণ করছেন।
আরো ত্রাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।