যুদ্ধাপরাধ: ননী ও তাহেরকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার সাবেক দুই মুসলিম লীগ নেতাকে ‘সেফ হোমে’ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2014, 10:48 AM
Updated : 28 August 2014, 10:53 AM

বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের এক আবেদনে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেয়।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান জানান, নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী (৬২) ও ওবায়দুল হক ওরফে আবু তাহেরকে (৬৭) একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন খান। অন্যদিকে আবু তাহেরের পক্ষে এর বিরোধিতা করে শুনানি করেন তার আইনজীবী তরিকুল ইসলাম। আতাউর রহমান ননীর পক্ষে কোনো আইনজীবী ‍নিয়োগ না হওয়ায় তার পক্ষে কেউ শুনানি করেননি।

সাবিনা জানান, ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই দু’জনের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছে।

গত ১২ অগাস্ট প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ননী ও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে নেত্রকোনা পৌর এলাকার ছোটবাজার থেকে আবু তাহেরকে এবং মুক্তারপাড়া থেকে ননীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন সে সময় জানান, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান মুক্তাকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনাতেও এই দুই মুসলিম লীগ নেতার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা জানায়।