শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা জানিয়ে তা আর না করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনারা অনেকে আমাকে রিপোর্ট দেন যে রাস্তাঘাট ভালো আছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র থাকে এর সম্পূর্ণ উল্টো। ভুল রিপোর্ট দিয়ে জনগণকে ফাঁকি দেবেন না।”
মূলত সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে একথা বলেন তিনি। প্রকল্পের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে নিজেকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করতেও তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
“কোনো কাজের লক্ষ্যমাত্রা শেষ করা নিয়ে মিডিয়ার সামনে আমাকে মিথ্যা বলাবেন না। প্রয়োজনে দু-এক মাস বাড়িয়ে বলবেন। মিডিয়া বলবে- ‘মন্ত্রী বলেছে এই সময়ে কাজ শেষ হবে’, কিন্তু পরে দেখা যায় কাজ শেষ হচ্ছে না।”
“আমি তো আপনাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো ডেডলাইন দেই না। তাহলে কেন আমাকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলান? যা রাখতে পারব না, এমন কোনো কথা আমি বলব না।”
অনুমোদনহীন ছুটি না নিতেও প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান যোগাযোগমন্ত্রী।
“আপনারা না বলে স্টেশন লিভ করেন। এতে রাস্তাঘাট সঙ্কটে পড়ে। আশা করি, এসব থেকে বিরত থাকবেন। আপনাদের ছুটির প্রয়োজন হতেই পারে। প্রয়োজনে অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।”
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তরুণ কর্মকর্তাদের বিভাগের বেদখল জমি উদ্ধারে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
“কোনো ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে জমি দখল করলে সেখানে আমার সরাসরি আমার হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। আপনারা জমিগুলো চিহ্ণিত করুন।”
কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের ‘রাজনৈতিক হয়রানি’র মুখোমুখি হলে সে বিষয়ে নিজে পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
নারী প্রকৌশলীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা নিজেদের মহিলা কেন ভাবেন? আপনারা প্রকৌশলী, এটাই আপনাদের পরিচয়। আমাদের এখানে ছয়জন মহিলা প্রকৌশলী আছেন, এটা আমরা গর্ব করে বলি।”
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের দায়িত্বনিষ্ঠার প্রশংসা করে সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীদের কাছেও একই ধরনের কাজ প্রত্যাশা করেন ওবায়দুল কাদের।