ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে মারা যান সেলিনা বেগম (৪০)। এর আগে বেলা ১২টার দিকে মারা যান তার ছেলে অনিক (১২)।
ওই ঘটনায় দগ্ধ অনিকের বোন পপিকেও (১৭) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সেলিনার চাচাতো ভাই মজিবুর রহমান জানান, পপির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গত ১৮ অগাস্ট ভোরে ফতুল্লার পূর্ব সেহাচর লাল খাঁ বাজার এলাকায় আনোয়ার হোসেনের ওষুধের দোকানে বিস্ফোরণ ঘটলে দোকানের সামনের দেয়াল ও শাটার ধসে পড়ে এবং পাশে সেলিনার বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এতে দুই সন্তানসহ দগ্ধ হন তিনি।
বিস্ফোরণের ঘটনায় দোকানের পাশে থাকা নৈশ প্রহরী আবদুর করিম (৫০) ও বারেকও (৩৮) আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেইনে গ্যাস জমা হয়ে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছিল বলে পুলিশের ধারণা।