সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। ইতোমধ্যে নগর ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। আর এ সময়ে কমবেশি সব জায়গায় চুরি হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নগরীতে ঈদর ছুটিতে পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এসময় নগরীর বাসা বাড়ি ফাঁকা থাকায় চুরির হারটা বেড়ে যায়। তাই রমজানে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যরা ঈদের ছুটিতে নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে।
নগর পুলিশের হিসেব মতে, চট্টগ্রাম নগরীর সর্বাধিক আবাসিক এলাকা রয়েছে বায়েজিদ থানা এলাকায়, ৭৪টি।
এরপর আকবর শাহ থানায় ২৩টি, খুলশী থানায় ২২টি, পাঁচলাইশ থানায় ১৭টি, ডবলমুরিং থানায় ১৫টি, চকবাজার থানা আটটি, পতেঙ্গা, চান্দগাঁও ও পাহাড়তলী এলাকায় সাতটি করে এবং হালিশহর এলাকায় পাঁচটি।
পুলিশ কর্মকর্তা বনজ বলেন, “বিভিন্ন আবাসিক এলাকার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে স্ব-স্ব থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।”
এছাড়া বাসায় তালা দেয়ার পরও প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খোঁজ রাখার পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, নগরীর বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে পুলিশ। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন থাকবে।
এদিকে ব্যাংকের নিরাপত্তার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও তদারকি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা বনজ।
তিনি বলেন, “ব্যাংক ম্যানেজারদের বলা হয়েছে ব্যাংকের লকারের নিরাপত্তা যেন মনিটরিং করেন।”
প্রয়োজনে কোন কর্মকর্তা যেন এ তদারকির দায়িত্বে থাকেন সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা বনজ।