শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী লন্ডন সফরকালে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে বিএনপি ভুল করেছে। তাদের সাথে আলোচনার কথা কেন বলা হচ্ছে, তা তার বোধগম্য নয়।
আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমরা বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী যদি সব দলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ না নিয়ে শুধুমাত্র প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও নিষ্ঠুর দমননীতি অনুসরণ করেন, তাহলে তার এই আত্মম্ভরী প্রগলভতার যবনিকা এমনভাবে ঘটবে, যা হয়তো আগামী সকল নিষ্ঠুর স্বৈরাচারের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।”
তিনি বলেন, বন্দুকের নল দিয়ে বিরোধী দল দমন করে সরকার বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। সেই বন্দুকের নল যে কোনো সময় বিপরীত দিকে ঘুরে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সাথে আলোচনা কেন করবেন, তা তার কাছে বোধগম্য নয়। আমরা মনে করি এই বোধ তার না হওয়ারই কথা। কারণ নির্বাচনবিহীন, জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন বিদেশি শক্তির সাহায্যে খয়রাতির ক্ষমতা নাগালে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী সাদ্দাতের বেহেশত পেয়ে গেছেন বলে মনে করছেন।
“সুতরাং তার (শেখ হাসিনা) কাছে বিরোধী দলই কি, অথবা গণতন্ত্রই বা কি। তার তো কিছুই আসে যায় না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন তো শেখ হাসিনার বাসায় পরিবারের কারো জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মতো।”
বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে মদদ দিচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সহিংসতাকে তারা চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। একজন মানুষের ক্ষমতায় থাকার এবং খেয়াল খুশির মূল্য দিতে গোটা দেশে সর্বনাশা রক্তারক্তির হোলি খেলা চলছে।”
সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঐক্যবদ্ধ হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবীর খোকন, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।