তবে যাদের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আশা করি, ঈদে এই ধরনের কাজ থেকে দুষ্টু লোকরা নির্লিপ্ত থাকবে।”
ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ আগে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
ঈদে মহাসড়কে পুলিশ চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের। ফুটপাতের হকাররাও পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে আসছে।
পুলিশের চাঁদাবাজি রোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, “দৃশ্যমান কোনো অপরাধ দেখলেই সরকার ব্যবস্থা নেয়।”
যানজট নিরসন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মলম পার্টির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ঈদগাহসহ সারাদেশের প্রধান প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে।
ঈদের ছুটিতে শহর হতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া জনসাধারণের বসত বাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানায় চুরি ও ডাকাতিরোধে পুলিশ সজাগ থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাস, ট্রেন বা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী যেন ওঠানো না হয়, সে দিকেও লক্ষ্য রাখবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কাঁচপুর ব্রিজ, গাবতলী, আমিন বাজার, টঙ্গী, জয়দেবপুর ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি, গৌরীপুর, সীতাকুণ্ড, আরিচা-দৌলতদিয়া, মাওয়া-কাওড়াকান্দিসহ বিভিন্ন ফেরি ঘাটে যানজট যেন না হয়, সে দিকে নজর রাখতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।